গুলশানে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের চেষ্টায় ‘ধাক্কা’ “এক দিনেই সব হয় না; এটা চলামান প্রক্রিয়া”, বলছে গুলশান সোসাইটি।

সিএন টিভি ডেস্কঃ

রাজধানীর শুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রথম দিনের প্রচেষ্টা ‘ধাক্কা’ খেয়েছে।

শনিবার সকালের দিকে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চালকদের বিক্ষোভের মুখে দুপুরের পর থেকে গুলশান ও বনানী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল ‘স্বাভাবিক’ হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কয়েক দিন ধরেই কাজ করছে গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

গুলশান সোসাইটির সভাপতি ওমর সাদাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে সোসাইটি ও ডিএনসিসির উদ্যোগে ব্যানার টানানো ও মাইকিং করা হয়। সহায়তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় পুলিশকে।

গুলশান জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবু সায়েম নয়ন বলেন, ব্যাটারি রিকশা যেন চলতে না পারে, সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি কয়েকটি পয়েন্টে সোসাইটি নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীও কাজ করেছেন।

বনানী ১১ নম্বর, বাড্ডা-গুলশান লিংক রোড, গুলশান ২, কালাচাঁদপুর ও পুলিশ প্লাজাসহ কয়েকটি জায়গায় গতকাল সকাল থেকে অবস্থান নেন পুলিশ ও সোসাইটির নিরাপত্তা কর্মীরা। ফলে এসব এলাকা দিয়ে গুলাশানে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চালকরা। তারা দুপুরের দিকে বনানী ১১ নম্বর সড়ক থেকে রিকশা নিয়ে মিছিল বের করেন।

চালকরা দাবি করেন, পায়েচালিত রিকশা চললে ব্যাটারি রিকশাকেও অনুমতি দিতে হবে।

কিছু চালক বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়েন এবং বেশ কিছু পায়েচালিত রিকশা ভাংচুর করেন। এ নিয়ে পুলিশ প্লাজাসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঙ্গামাও হয়।

ওমর সাদত বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই।

“ডিপলোমেটরা নানাভাবে এসব রিকশার দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগ আমাদের কাছে নিয়মিত আসছে। পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা গুলশান এলাকায় ব্যাটিারি রিকশা চলাচল বন্ধের ব্যাপারে সিটি করপোরেশন ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে কাজ শুরু করি।”

এ ব্যাপারে রিকশার চালক ও মালিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে দাবি করেন ওমর সাদাত।

শনিবার দুপুরের পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওমর সাদাত বলেন, “এক দিনেই সব হয় না; এটা চলামান প্রক্রিয়া। এ এলাকা সুন্দর ও নিরাপদ করতে আমাদের সব চেষ্টা থাকবে।”

তিনি বলেন, হোলি আর্টিজানে হামলার পর এ এলাকায় রিকশা চলাচলের ব্যাপারে নতুন নিয়মকানুন করা হয়। এ এলাকায় প্রায় সাড়ে চারশ নিবন্ধিত রিকশা রয়েছে। এসব রিকশার চালকদের তথ্য পুলিশের কাছেও আছে।

 

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram