সীতাকুণ্ডে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী কুপিয়ে জামায়াত কর্মীর পায়ের রগ কর্তনে আশংকাজনক অবস্থা।

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

সীতাকুণ্ডে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী কুপিয়ে জামায়াত কর্মীর পায়ের রগ কর্তনে চমেক হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্হয় রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভাস্হ হাসান গোমস্তা মসজিদের সামনে দক্ষিণ মহাদেবপুর ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালাম তার ফার্মের জন্য গাড়ি থেকে মুরগী নামানোর সময় সন্ত্রাসী জাফরের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী গাড়ির ড্রাইভার থেকে চাঁদা দাবী করে।এতে আবুল কালাম প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী জাফর তার বাহিনী মিলে তাঁকেসহ ড্রাইভারকে মুখ চেপে ধরে ডেবার পাড়ে নিয়ে যায়।সেখানে তাদেরকে মারধর শুরু করে এবং আবুল কালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আহত করে।আবুল কালামের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন বেড়িয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্হায় আছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান।এদিকে হামলার প্রতিবাদে পৌর জামায়াতের উদ্যোগে পৌর আমির হাফেজ আলী আকবরের সভাপতিত্বে বিশাল মিছিল পৌরসদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ তাহের,এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী কুতুব উদ্দিন শিবলী, শিল্প বাণিজ্য সেক্রেটারী শামছুল হুদা, রবি, রাফি, পেয়ারু আহমেদ, রাসেলসহ প্রমূখ। তাছাড়া উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান ওসির প্রতি আক্ষেপ করে জানান, বর্তমান ওসি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেয়ায় পৌরসভাসহ সীতাকুণ্ড একের পর এক আইন শৃঙ্গলা অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন দখল বেদখল, চাঁদাবাজী এবং খুন খারাবি হচ্ছে। আমরা ইতিপূর্বেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা অথবা অভিযোগ দিলেও তিনি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নেননি।
অপরদিকে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা তাওহীদুল হক চৌধুরী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার না করলে উদ্বুদ্ধ পরিস্হিতির জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।
এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা মামলা করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram