আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আবু জাফরের বিরুদ্ধে প্রাণহ‌রি আমিন একাডেমিতে অন্যায় ভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে।

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের মূল হোতা শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনো আওয়ামী লীগের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনই একজন প্রাণহ‌রি আমিন একাডেমী স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক আবু জাফর।
বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সমর্থক আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে এলাকায় ভূমিদস্যু চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন ও অন্যান্য সময় রাজ‌নৈ‌তিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তিনি নিজেকে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সদর্পে বিদ্যালয়ে রাজনৈতিক চর্চা করতেন। তিনি মোহাম্মদ সেলিম (বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে) নামীয় একজন রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। আবু জাফর শিক্ষক নামের কলঙ্ক, তার নীতি বহির্ভূত অনৈতিক ও অপেশাদার কার্যক্রমে তার সহকর্মিরাও বিব্রত হতেন বলে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণ হরি আমিন একাডেমীর স্কুলের একজন শিক্ষক আমাদেরকে জানান আবু জাফর প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষক কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি ও বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস এবং এই সংক্রান্ত প্রণীত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ভঙ্গ করতেন সব সময় তার কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ প্রাণ হরি আমিন একাডেমী স্কুলে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে নিজের মনগড়াভাবে স্বার্থান্বেষী হয়ে স্কুল পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। স্কু‌লের প্রধান শিক্ষক কে না‌কি তার কথায় নি‌য়োগ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে । প্রধান শিক্ষক কে না‌কি ব‌লেন তার কথা না শুন‌লে লা‌থি মে‌রে চেয়ার থে‌কে ফে‌লে দি‌বেন। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর তার পেশাগত অসৎ আচরণের অভিযোগ এনে আবেদন করা হয়েছে এই আবেদনের অনুলিপি কপি বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার চট্টগ্রাম পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আবু জাফর একজন দুশ্চরিত্র লোকদ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্রীদেরকে উত্ত্যক্ত করা সহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকা‌রের আম‌লে তার ছে‌লে‌কে ২০/২৫ লক্ষ টাকা খরচ ক‌রে আ‌মে‌রিকা পাঠান, এ‌তে অ‌নে‌কেই হতবাক হন । সামান‌্য ক্রীড়া শিক্ষক হ‌য়ে এত টাকা তি‌নি কোথায় পান জনম‌নে প্রশ্ন উ‌ঠে। তিনি নামে বেনামে করেছেন অনেক সম্পত্তি তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram