
দুপুরে ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন।
ডেক্স নিউজঃ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনের সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন।
শনিবার বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান।
এর আগে দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতের নাম লাভলু মিয়া (৫০)। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লাভলুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে রায়হান মিয়া।
লাভলু মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষের কর্মী ছিলেন বলে দাবি রায়হান মিয়ার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদরগঞ্জ বাজারে ইতিয়াক বাবুর দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন জাহিদুল ইসলাম। গত মাসে হঠাৎ জাহিদুলকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন বাবু। ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও জামানতের ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া শর্তে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন জাহিদুল।
তবে দোকানমালিক বাবু জামানতের ৩৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার এবং দোকান ছেড়ে না দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এমন পরিস্থিতিতে ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাবু তার লোকজন নিয়ে দোকানঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করেন বলে অভিযোগ জাহিদুলের।
ঘটনার সময় প্রতিবাদ করলে জাহিদুলকেও মারধর করা হয়। বর্তমানে তিনি বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী জাহিদুলের পক্ষ নেন বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক।
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, জামানতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়াকে মারধর, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন মানিক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন