
ডেক্স রিপোর্টঃ
ইউক্রেইনের মধ্যাঞ্চলের শহর ক্রিভি রিহতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
এই শহরেই বড় হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, রুশ হামলায় নিহতদের মধ্যে ৯ জনই শিশু।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ওই ব্যালিস্টিক মিসাইল শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ছবিতে দেখা গেছে, একটি খেলার মাঠে পড়ে আছে এক ব্যক্তির লাশ। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বড় একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, রাস্তায় ছড়িয়ে আছে আহতদের দেহ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরে দাবি করে, তাদের ‘নির্ভুল নিশানার’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল একটি রেস্তোরাঁ লক্ষ্য করে, যেখানে ‘ইউক্রেইনীয় ইউনিট কমান্ডার ও পশ্চিমা প্রশিক্ষকদের বৈঠক’ হচ্ছিল।
‘অব্যর্থ’ সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হওয়ার কথা রুশ কর্তৃপক্ষ বললেও তাদের এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা হাজির করেনি।
ইউক্রেইনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়া তাদের ‘নিষ্ঠুর অপরাধ ঢাকতে মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছে।
কিইভের দাবি, এই হামলায় মস্কো ইসকান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে ক্লাস্টার ওয়ারহেড ছিল, যা ব্যবহৃত হয় বেশি সংখ্যক হতাহত ঘটানোর জন্য।
২০২২ সালে রাশিয়া পুরো মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর শুক্রবার সন্ধ্যার এই হামলা ক্রিভি রিহ শহরের অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা। আর এমন সময়ে এ হামলা চালানো হল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।
তিনি জানান, এক বৃদ্ধা নারী তার বাড়িতে ড্রোন হামলায় পুড়ে মারা গেছেন, আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সামরিক প্রধানরা শুক্রবার রাজধানী কিইভে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বিদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
তবে সহিংসতা কমার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।