চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর এম্বারকেশন ইউনিটের জায়গা এখনো স্বৈরাচারের দোসর জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারীদের দখলে।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামে স্বৈরাচারের দোসরদের পূর্ণবাসনে এবং তাদের অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য রক্ষায় ব্যাপক তৎপর একটি গোষ্ঠী তাদের সাথে ক্রিড়ানক হয়ে কাজ করছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
আলী আকবর মিন্টু ওরফে ক্যাসিনো মিন্টু(জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যার আসামী, চট্রগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা, যুবলীগ সন্ত্রাসী লিমনের ঘনিষ্ট সহযোগী ও অর্থদাতা। চট্টগ্রামের বিখ্যাত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা), *মোহাম্মদ খোরশেদ (চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা),জয় ব্যানার্জি( আওয়ামীলীগ নেতা), মাসুম আনসারি(বিহারী,আওয়ামী সুশীল, এখন ভোল পাল্টে সুশীল সমাজ) কামাল হোসেন (দুবাই ভিত্তিক, ফটিকছড়ি কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের অন্যতম হুন্ডিব্যাবসায়ী ও চোরাকারবারি) রতন (স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত ভূমিদস্যু ) এই সিন্ডিকেটে বন্দি চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনীর এম্বারকেশন ইউনিটের অধীনের মূল্যবান জায়গা।
চট্টগ্রাম এমএআজিজ স্টেডিয়ামের মোড়ে হোটেল রেডিসনের উল্টো পাশে অবস্থিত নেভি এম্বারকেশন ইউনিটের অধীনে প্রায় ১.৫ একর জায়গা,যে জায়গায় গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে উপরে উল্লেখিত স্বৈরাচারের দোসরা গড়ে তুলেছে অবৈধ বাণিজ্য কেন্দ্র,দোকান তুলে ক্ষান্ত হয়নি, নো বাহিনী থেকে শর্ত ছিল দোকান গুলো উপ-ভারা দেওয়া যাবে না, সেই শর্ত লঙ্ঘন করে দোকান গুলো উপভারা দিয়ে ভাড়াটিয়া দের জিম্মি করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা,দোকানের পিছনে বিশাল মাঠে ছিল যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা ও মাদকের রমরমা হাট। যেখানে নিরীহ ব্যক্তিদের কে ধরে এনে আটকে রেখে নির্যাতন এবং চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আছে। খোলা মাঠে পার্কিং এর নাম করে চলেছে দিনে দুপুরে চাঁদাবাজি। ওই মাঠে গাড়ি চুরি ও আটকে রেখে নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে আলী আকবর মিন্টুর বিরুদ্ধে। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় পত্রিকাতে আলোচিত হয়েছে।
আলী আকবর মিন্টু ওরফে ক্যাসিনো মিন্টু ( চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা, আ জ ম নাসিরের অনুসারী হিসেবে চট্টগ্রাম চকবাজার ওয়াড হতে কাউন্সিলর নির্বাচন করে ) তার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা নং- ১৪ তারিখ ১০/১১/২৪ মামলা রুজু হয়, তাছাড়া ও নগরীর বিভিন্ন থানায় প্রতারণা,অর্থ আত্মসাৎ, মাদক সহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। এই স্বৈরাচারের দোসরের নিয়ন্ত্রণে আছে এম্বারকেশন ইউনিটের অধীনে প্রায় ছয়টি দোকান।
দোকান গুলো- ১/ ওয়াও লাইফস্টাইল, ২/ফেসকোড ৩/ গিফজি ৪/ট্যাগ লাইফ।
তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ৪ আগস্ট স্টেডিয়াম এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে তার অনুগত শিবু দাশগুপ্তের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষাথীদের উপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এই ব্যবসার আড়ালে কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির তথ্য রয়েছে, এই লীগ সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে,সে তার আপন বোনের জামাই ও ব্যবসায়ীক অংশীদারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেশ ছাড়া করিয়েছে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। আলী আকবর মিন্টু নিজেকে এখন জামায়াত নেতার ভাগিনা পরিচয় দেয়। কামাল হোসেন, দুবাই কেন্দ্রিক ফটিকছড়ি ভিত্তিক তৎপর হুন্ডি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা এই ব্যক্তি।দুবাই থেকে পরিচালিত হওয়া বেশিরভাগ চোরাচালানের নিয়ন্ত্রক তিনি।তার অবৈধ অর্থ কে সাদা বানানোর প্রক্রিয়া হিসেবে তিনি আলী আকবরের গিফজি,নামক দোকানে বিনিয়োগ করেছেন কোটি কোটি টাকা। ওই দোকানের সব অবৈধভাবে আমদানিকৃত কসমেটিক্স এবং জুয়েলারিতে নকল আমদানি কারকের সিল ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা করা হচ্ছে। যাতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। সমাজের উচ্চ মহল কে টার্গেট করে স্থাপন করা এই দোকানে এক টাকার জিনিস ১০০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ আছে।
রতন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও চাঁদাবাজির অংশীদার এই রতন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সাবেক অবৈধ মেয়র রেজাউল করিমের সাথে সিন্ডিকেট করে চট্টগ্রামে কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলে নেওয়ার। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবু এবং সেক্রেটারি আজিজের সহযোগিতায় রতন প্রবাসী ব্যক্তিদের উপর চাঁদাবাজির স্টিমরোলার চালিয়েছেন বিগত ১৬ বছর। গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়,চট্টগ্রামে নামে বেনামে তার দখলে রয়েছে কমপক্ষে ২০টির বেশি প্লট। ব্যক্তিগত জীবনের লম্পট এই ব্যক্তির লালসা থেকে রক্ষা পায়নি তার নিজের বন্ধুর বউ। অভিযোগ রয়েছে পাহাড়তলী এলাকার জনৈক আলমের স্ত্রীর সাথে তার অবৈধ প্রণয়।
মাসুম আনসারি(সাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী, জন্মসূত্রে বিহারী,এখন ভোল পাল্টে সুশীল সমাজ) একজন পুরোদস্তুর ভন্ড প্রতারক। যুবলীগ সন্ত্রাসী আলী আকবর মিন্টুর খালু, ভারতীয় বিহারী,নারী লোভী। এই প্রতারকের অধীনে আছে ২ টি দোকান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে দোকান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ।
*যুবলীগ সন্ত্রাসী খোরশেদের নামে বরাদ্দ দেয়া আছে লোলে লাইফস্টাইল”
*আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী শৈবাল দাস সুমনের সঙ্গী জয় ব্যানার্জির নামে আছে- ট্যাগলাইফ স্টাইল, সিরামিক শপ, টেস্টি ট্রিট, নো ওয়ার।
উল্লেখ্য: এইখানে নেভির দেওয়া শর্ত প্রায় প্রতিটি বরাদ্দে লঙ্ঘন করা হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে বেশিরভাগ দোকান দোতালায় রূপান্তর করা হয়েছে, অহরহ হাত বদল এবং উপ ভাড়াটিয়া প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ,
ছাত্র হত্যার আসামী এই স্বৈরাচারের দোসরদের ক্ষমতার উৎস কোথায়?
চট্টগ্রামে ছাত্র জনতার উপর যে নির্যাতন করা হয় তার নেতৃত্ব থাকা এসব সন্ত্রাসীদের পূর্ণবাসন করছে কারা,
তাদের পৃষ্ট পোষকতা করে কার স্বার্থ রক্ষা করছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী?
তাদের এসব প্লাটফর্মের মাধ্যমে প

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram