মহানবীকে ‘কটূক্তি’: কোহিনূরের কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশ।

সিএন টিভি ডেস্কঃ

মহানবীকে (স.) নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগ ওঠা কোহিনূর কেমিক্যালস কোম্পানির কর্মকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানায়, অভিযোগ ওঠা ব্যক্তি কারখানার প্রোডাকশন এক্সিকিউটিভ। রাত ৮টার দিকে পুলিশ ও সেনা প্রহরায় তাকে কারখানা থেকে উদ্ধার করে প্রথমে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে।

পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান বলেন, “ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করবে।

“এখন তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। মামলা হলে তাকে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।”

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘কটূক্তির’ অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে তেজগাঁওয়ে তিব্বত ক্রসিংয়ে সড়কে অবস্থান নেন কোহিনূর কেমিক্যালস কোম্পানির কর্মীরা। তার বিচার ও ফাঁসির দাবি করতে থাকেন তারা।

তখন থেকেই দুই পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে তীব্র যানজটে পড়ে হাজারো মানুষ।

যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবরোধ শুরুর কিছুক্ষণ পরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শ্রমিকরা তারপরও সড়ক আটকে রাখেন।

তারা সেই সহকর্মীর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ গিয়ে অনেক বুঝিয়েও তাদের সরাতে পারেনি।

বিকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়। জলকামানসহ দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম নিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ধাওয়ায় শ্রমিকরা মূল সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। আশপাশের অলি-গলিতে জটলা করে থাকা শ্রমিকদের বাঁশি বাজিয়ে, লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৮টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

যানজটে দিনভর আটকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তেজগাঁও, গুলশান, নিকেতন, মহাখালীসহ আশপাশের এলাকার মানুষকে।

 

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram